ঈশ্বরগঞ্জে মামলা জটিলতায় ধুঁকছে ১৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ঈশ্বরগঞ্জে মামলা জটিলতায় ধুঁকছে ১৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে গঠিত হয় পরিচালনা কমিটি। কিন্তু পরিচালনা কমিটির সভাপতি হওয়া, প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলাসহ নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধুঁকছে জটিলতায়।

প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় বিবাদী হন প্রশাসনের কর্মকর্তারাও। মামলা জটিলতায় কার্যক্রমে বেগ পেতে হচ্ছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

উপজেলায় স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে এমপিও ও ননএমপিও মিলে ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসা পর্যায়ে এমপিও-ননএমপিও মিলে রয়েছে ২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

জটিলতায় ধুঁকতে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- উচাখিলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মধুপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, মরিচারচর উচ্চ বিদ্যালয়, কুমারুলী উচ্চ বিদ্যালয়, ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়, বৈরাটি আলিম মাদ্রাসা, রাউলেরচর দালিখ মাদ্রাসা, ইউনুছ খাদিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা, খালেকিয়া দারুসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা, মহেশপুর দাখিল মাদ্রাসা, সরাতি হোসাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসা, সাখুয়া মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসায়।

এর মধ্যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠনের পর সভাপতি পদ নিয়ে আদালতে মামলায় নিষেধাজ্ঞা জারি, কোনো প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন হওয়ার পরও সভাপতি নির্বাচন নিয়ে মতানৈক্য থাকায় কমিটি নেই। আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়ে মামলা জটিলতা থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠনের দিকে যেতে পারছে না। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও মামলা জটিলতায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে কমিটি না থাকায় তাদের বেতন-ভাতায় স্বাক্ষর করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

কুমারুলী উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্প্রতি পরিচালনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু সভাপতি পদে তিনজন দাবিদার হন। কারও পক্ষে সমর্থক বেশি না থাকায় সভাপতি নির্বাচন করা যায়নি। ফলে আটকে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কমিটি। পরপর দু’বার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সভাপতি নির্বাচন না করতে পারায় কমিটি কার্যক্রমে যেতে পারেনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রতিষ্ঠানগুলো সুন্দরভাবে পরিচালিত হতে পারত। কিন্তু মামলা জটিলতা থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান চেষ্টা করেও তা নিরসন করতে পারছেন না। মামলায় তাদের বিবাদী করায় আদালতে তাদেরও জবাব দিতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *