
ঈশ্বরগঞ্জে সন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করলেন মা!
ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি: পারিবারিক কলহের জেরে গর্ভজাত সন্তানকে নদে ছুঁড়ে মেরে ফেলার দায় স্বীকার করলেন মা। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর মায়ের স্বীকারোক্তিতে মামলা হওয়ায় সোমবার (২৮ আগস্ট) পুলিশ সন্তান হন্তারক মাকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত ওই নারীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের হীরাধর গ্রামের জিয়াউল হক ওরফে জিলু ও স্ত্রী পপি আক্তারের দাম্পত্য জীবনে ছয় বছর পর শিশুকন্যার জন্ম হয়। আদর করে নাম রাখা হয় লাইসা আক্তার ছোঁয়া (১০ মাস)। গত ২২ আগস্ট রবিবার বসতঘরের অদূরে কাঁচামাটিয়া নদ থেকে ছোঁয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার দিন ছোঁয়াকে ঘুম পাড়িয়ে মা পপি আক্তার উঠান ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। একটু পরে বাবা জিয়াউল হক মেয়েকে খাটের উপর দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে ঘরের অদূরে কাঁচামাটিয়া নদে ভাসমান অবস্থায় মেলে শিশুর মরদেহ।
এ ঘটনার পর থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে পপি। এক পর্যায়ে মা পপি গত রবিবার (২৭ আগস্ট) স্বামী শাশুড়ি ও বাড়ির লোকজনের কাছে সন্তান হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে শিশুর বাবা বাদী হয়ে মা পপি আক্তারকে আসামী করে থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ ২৭ আগস্ট পপিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। সোমবার পপি আক্তারকে আদালতে সোপর্দ করা হলে পপি শিশু হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানায় ।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাছিনুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্বামীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর শিশু হত্যাকান্ড সম্পর্কে পুরোপরি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি ।