ঈশ্বরগঞ্জে ঈদগাঁহ মাঠের টাকা আত্মসাৎ

ঈশ্বরগঞ্জে ঈদগাঁহ মাঠের টাকা আত্মসাৎ

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রৌশন আরার বিরুদ্ধে জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্ধকৃত প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর সোমবার বিকেলে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মসজিদ ও ঈদগাঁহ মাঠের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওশতি বাজার জামে মসজিদের ঈদগাঁহ মাঠ উন্নয়নের জন্য ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২লাখ টাকার একটি প্রকল্প বরাদ্দ প্রদান করেন। প্রকল্প চেয়ারম্যান হন ওই ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রৌশন আরা বেগম।

এলাকাবাসী জানায়, অনেক আগেই নিজ উদ্যোগে ওই ঈদগাঁহ মাঠের কাজ সম্পন্ন করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ি সমাজ সেবক প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু।

কিন্তু ওই কাজের উপর রাতের আধাঁরে জেলা পরিষদের নাম ফলক টানিয়ে দেন ইউপি সদস্যের স্বামী। ইউপি সদস্য রৌশন আরা বেগম প্রথম কিস্তির ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ এবং রাতের আঁধারে নাম ফলক লাগানোর বিষয়টি স্থানীয় মুসুল্লিরা টের পেয়ে মসজিস কমিটির সভাপতিকে জানায়।

পরে সভাপতি মাহফুজুর রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর সোমবার এলাকার লোকজন সাংবাদিকদের খবর দেয়। সাংবাদিকরা আসছে এমন খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের স্বামী একপর্যায়ে প্রকল্পের নাম ফলকটি উঠিয়ে নিয়ে যায়।

ইতিপূর্বে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে একই মসজিদের নামে ওই ইউপি সদস্য জেলা পরিষদের ২লাখ টাকার প্রকল্প নিয়ে প্রায় ৩০হাজার টাকার কাজ করে বাকী টাকা আত্মসাৎ করেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রৌশন আরা বেগম জানান, গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রকল্পের ২লাখ টাকার ভ্যাট ট্যাক্স বাদে প্রায় ৯০ হাজার টাকার কাজ করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত ২লাখ টাকার কাজের পূর্বেই মসজিদ কমিটি মাজেদ বাবুর অনুদানে কাজ সম্পন্ন করে ফেলেন। তাই কমিটির সভাপতির সাথে কথা বলে ২য় কিস্তির টাকা উত্তোলনের জন্য নাম ফলক লাগিয়ে দেয়া হয়। প্রকল্প পরিবর্তন না করে কাজটি করা আমার ভুল হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন জানান, অভিযোগটি পেয়েছি। এবিষয়ে জেলা পরিষদের সাথে কথা হয়েছে। এটি একটি বড় ধরণের দূর্নীতি। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা পরিষদকে চিঠি দেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *