ঈশ্বরগঞ্জে পেঁয়াজ চাষীরা লাভের আশায় প্রহর গুণছেন

ঈশ্বরগঞ্জে পেঁয়াজ চাষীরা লাভের আশায় প্রহর গুণছেন

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পেঁয়াজ চাষীরা লাভের আশায় প্রহর গুণছেন। অভিজ্ঞতা ছাড়া প্রথমবার পেঁয়াজ চাষ করতে গিয়ে সময়, শ্রম ও অধিক ব্যয়ের পরও লাভবান হওয়ার ব্যাপারে তারা আশাবাদী।

সরেজমিন জানা যায়, উপজেলার ধামদী গ্রামে একই প্লটে ৪ একর জমিতে ৮ জন পেঁয়াজ চাষীর সম্মিলিত উদ্যোগে বারি-১ জাতের পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে।

আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে পেঁয়াজ চাষে স্বয়ংসর্ম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্দেশনায় নিয়মিত পরিচর্যায় পেঁয়াজের ফলনে খুশী চাষীরা। আগামী ৩ সপ্তাহ পর থেকে উঠতে শুরু করবে পেঁয়াজ।

পেঁয়াজ চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৪একর জমিতে পেঁয়াজ চাষে খরচ হবে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। প্রাকৃতিক বৈরিতার কবলে না পড়লে ৪ একরে পেঁয়াজের ফলন হবে প্রায় ৩৫ মেট্রিক টন। আর বর্তমান বাজার দর অনুয়ায়ী যার মূল্য প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এবছর উপজেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ হেক্টর আর অর্জিত হয়েছে ৩০ হেক্টর। সম্ভাবনা রয়েছে ৫শ ৪০ মে.টন পেঁয়াজ উৎপাদনের ।

ধামদী গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদির জানান, গতানুগতিক চাষাবাদের বাইরে লাভজনক নতুন কিছু চাষাবাদের পরিকল্পনা ছিল আমার। এবছর দেশে পেঁয়াজের উচ্চমূল্যের বিষয়টি আমাকে ভাবায়। পরে প্রতিবেশী কৃষক সাইদুল মুন্সী, আজুল হক, এম কে রিপন, নূরুল আলম, রফিক মুন্সী, শফিকুল ইসলাম ও সিদ্দিকুর রহমানও পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ফরিদপুর ও রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর থেকে বীজ এবং দক্ষ শ্রমিক এনে চারা উৎপাদন করে রোপন করা হয়েছে। আমাদের অভিজ্ঞতা না থাকায় এবছর খরচ বেশি হয়েছে, তারপরও আশা করছি আমরা পেঁয়াজ চাষে লাভবান হব।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল খায়ের আকন্দ জানান, পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের আওতায় ধামদী গ্রামের পেঁয়াজ চাষে উপযোগী ৪ একর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। ফসল উঠার আগ পর্যন্ত নিয়মিত তদারকি অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার জানান, মূলত আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে এবছর উপজেলার ৫জন পেঁয়াজ চাষীকে প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে।

ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ বলেন, পেঁয়াজ সঙ্কট দূরীকরণ ও আবাদ বাড়াতে আমরা নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি। শুধু রবি মওসুমে নয়, ইতোমধ্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ময়মনসিংহের ১০ উপজেলার তালিকাভুক্ত ৫০ জন পেঁয়াজ চাষীকে প্রণোদনার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *