ঈশ্বরগঞ্জে মাইজবাগ ইউপি নির্বাচনে মামলার রায় প্রকাশ

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি: গত ৭ ফেব্রুয়ারি-২২ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে দায়েরকৃত মামলার রায় প্রকাশ হয়েছে। রায়ে পুর্বের ফলাফল বাতিল করে নতুন গেজেট প্রকাশ ও নৌকার প্রার্থী মো. ফরিদ মিয়াকে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করতে আদালত নির্বাচন কমিশন সচিবকে নির্দেশ প্রদান করেন। 

জানা যায়, গত ২৯ মার্চ-২২ তারিখে লাঙল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান ছাইদুল ইসলাম বাবুলকে প্রধান প্রতিপক্ষ করে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজিত প্রার্থী মো. ফরিদ মিয়া জেলা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন। সুষ্ঠু তদন্ত শেষে ৩০ জানুয়ারি ময়মনসিংহের নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সহকারী জজ ওয়াহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। 

রায়ের ছায়ালিপি সূত্রে জানা যায়, ২৪ জানুয়ারি প্রতিদ্বন্ধিতাকারী উভয় পক্ষের আইনজীবী, প্রার্থী ও বিজ্ঞ বিচারকের উপস্থিতিতে আদালতের এজলাস কক্ষে সিলাগালা খুলে ভোট গণনা করা হয়। গত নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী লাঙল প্রতীক পেয়েছে ৫২৩৫ ভোট এবং নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৫২২৯ ভোট। নৌকা প্রতীকের বাতিল ভোটের সংখ্যা ১৩১টি এবং লাঙল  প্রতীকের বাতিল ভোটের সংখ্যা ৪০৩টি। এমতাবস্থায় প্রকাশিত ফলাফল থেকে বাতিল ভোট বাদ দিলে লাঙল প্রতীকের ভোট সংখ্যা হয়েছে ৪৮৩২ এবং নৌকা প্রতীকের ভোট সংখ্যা হয়েছে ৫০৯৮। 

আদালত উভয়পক্ষের মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষ্য, ভোট পুন:গণনা কার্যক্রম সম্পন্ন করে ২৬৬ ভোট বেশি পাওয়ায় মামলার আবেদনকারীর অনুকূলে রায় প্রদান করেন। সেই সাথে বিগত ৭ ফেব্রুয়ারি-২২ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘোষিত চুড়ান্ত ফলাফল বাতিল ঘোষণা করা হয়। সেই সাথে পুন:গণনায় প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফরিদ মিয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তৎ অনুযায়ী বিজয়ী প্রার্থী মো. ফরিদ মিয়ার নামে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশসহ শপথের ব্যবস্থা নিতে সচিব বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ঢাকা কে নির্দেশ প্রদান করা হয়। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার আবেদনকারী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. ফরিদ মিয়া বলেন, বিগত নির্বাচনে আমাকে পরিকল্পিত ভাবে ভোট কারচুপির মাধ্যমে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে। আমি সর্বদাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেয় আমি তা মাথা পেতে নেব । 

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান ছাইদুল ইসলাম বাবুলকে আদালতের রায়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ভোট কাস্টিংয়ের ভুল ভ্রান্তির ব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার দায়ী। কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার ব্যাপারে আমার কোন হাত নেই। আদালত যে রায় দিয়েছে আমি তাঁর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আমি বর্তমানে গেজেট ভুক্ত চেয়ারম্যান। এ রায় মেনে নেয়া যায়না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *