ঈশ্বরগঞ্জে ৫৬ নমুনার ফল না পেয়ে শঙ্কায় স্থানীয়রা

ঈশ্বরগঞ্জে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের জন্য নমুনা দেওয়ার পর ফলাফল না পাওয়ায় শনাক্তবিহীন অবস্থায় ভাইরাসটির আরো বিস্তার হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা। ঈশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বশেষ ৭ দিনে কোনো নমুনার ফলাফল জানাতে পারেনি।

জানা যায়, উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নে গত ১২ এপ্রিল সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সনাক্ত হয়। নারায়নগঞ্জ থেকে ফেরত ২২ বছর বয়সী পোশাক শ্রমিক এক তরুণীর শরীরে শনাক্ত হয় করোনা ভাইরাস। পরে তাকে ময়মনসিংহ এস কে হাসাপতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে ওই তরুণীর মা, দুই বোন এবং এক প্রতিবেশীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।

এরপর গত ১৮ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক গাড়ি চালকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। তার বাড়ি বড়হিত ইউনিয়নের একটি গ্রামে। গত ১৯ এপ্রিল নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে পরীক্ষা হওয়া এক নার্সের করোনা শনাক্ত হয়। তিনি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। তাই এ উপজেলাতে করোনা ভাইরাসে মোট ৭ জন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

এরই মধ্যে ঈশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিট সোমবার পর্যন্ত ১২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পাঠিয়েছে। পরে ৬৪টি নমুনার ফলাফলে ৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে বলে শনাক্ত হয়। কিন্তু গত ৭ দিনে পাঠানো ৫৬ জনের নমুনার ফলাফল ঈশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ পায়নি বলে জানায়। নমুনা শনাক্ত বিহীন অবস্থায় ভাইরাসটির আরো বিস্তার হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূরুল হুদা খান বলেন, মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি নমুনা সংগ্রহ হওয়ায় জট তৈরি হয়েছে। ২১ তারিখ থেকে তারা কোনো নমুনার ফলাফল পায়নি। শনাক্তবিহীন অবস্থায় রোগী থাকায় সংক্রমণ ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *