ঈশ্বরগঞ্জ ৬০ বছর পর হাসপাতালে চালু হলো ওটি

ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে ৬০ বছর পর চালু হলো ওটি

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ৬০ বছর পর ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হলো অপারেশন থিয়েটার (ওটি)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রসূতির অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওটি চালু হয়। সফলভাবে অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা শিশুর জন্মের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে ওটির। নবজাতক ও তার মা উভয়েই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নূরুল হুদা খান।

নুরুল হুদা জানান, ওটি শেষে প্রসূতিসহ নবজাতককে হাসপাতালের কেবিনে রাখা হয়েছে। তিন দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এখানেই প্রসূতি এবং নবজাতককে সেবা দেওয়া হবে। এদিকে দীর্ঘসময় পর এ চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হওয়ায় আনন্দিত স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, কোনো প্রসূতি মায়ের অবস্থার অবনতি হলে বা সিজারের প্রয়োজন হলে আগে তাদের ময়মনসিংহ জেলা শহরে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় ছিল না। বর্তমানে আমাদের হাতের নাগালে এ ব্যবস্থা চালু করায় কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সিজারিয়ান সেবা পাওয়া যাবে। এ ব্যবস্থা আরও বেগবান করতে ও মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সিজার সেবায় সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৯৬২ সালে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটির উদ্বোধন হয়। বিভিন্ন জটিলতায় দীর্ঘ এই সময় পেরিয়ে গেলেও এত দিনে ওটি চালু হয়নি। পরিশেষে সকল প্রতিবন্ধকতার অবসান ঘটিয়ে চালু হয়েছে অপারেশন থিয়েটার (ওটি)।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নূরুল হুদা খানের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় অপারেশন টিমে উপস্থিত ছিলেন—গাইনী বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. শারমিন আক্তার, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আফরোজা শাহীন, ডা. সুমি, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমিত কুমার বসাক, মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. দোলন, মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ, নার্সিং সুপারভাইজার শিপ্রা রাণী দে প্রমুখ। এ ছাড়াও ওটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীও সার্বিক সহযোগিতা করেন।

এদিকে জন্ম নেওয়া মেয়ে নবজাতকের বাবা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে প্রথম সিজার হয়েছে, এ জন্য প্রথমে কিছুটা ভয়ে ছিলাম। কিন্তু সুষ্ঠুভাবে সিজার সম্পন্ন হওয়ার পর খুবই আনন্দিত হয়েছি। আর এই কাজটির পুরো কৃতিত্বই হাসপাতালের বড় ডাক্তার (টিএইচও) ডা. মো. নূরুল হুদা খান স্যারের। আমাদের মতো গরিব মানুষের জন্য এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নূরুল হুদা খান বলেন, ‘মাননীয় সাংসদ ফখরুল ইমাম মহোদয়ের আগ্রহের মাধ্যমে ওটি চালু সম্ভব হয়েছে। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *