চালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

চালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

ঈশ্বরগঞ্জ (সমকাল) প্রতিনিধিঃ প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে নিজের ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে বের হন রতন মিয়া। বিকেলে নিজের বাবাকেও এক আত্মীয় বাড়িতে দিয়ে আসে। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেনি সে। বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকজন স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নেয়।

কিন্তু সকালে খবর পায় একটি সবজি ক্ষেতে পাওয়া গেছে রতনের লাশ। হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় রতনকে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইলে।

ঈশ্বরগঞ্জের রাজীবপুর ইউনিয়নের উজানচর নওপাড়া (খুলিয়ারচর) গ্রামের মুনতাজ আলীর ছেলে রতন মিয়া। ব্যাটারিচালিত রিকশা চালিয়ে সংসার চালাত। শনিবার খাওয়ার পর নিজের রিকশা নিয়ে ভাড়ায় চালাতে বের হয়। বিকেলে বাড়িতে গিয়ে বাবা মুনতাজ আলীকে নওপাড়া গ্রামের এক আত্মীয় বাড়িতেও দিয়ে আসে। প্রতিদিন সন্ধ্যার কিছু পর রিকশা নিয়ে বাড়িতে চলে এলে শনিবার রাতে আর বাড়ি ফেরেনি রতন। তার ব্যবহূত মুঠোফোনটিও বন্ধ পায় পরিবারের লোকজন।

এদিকে রোববার সকালে নান্দাইল উপজেলার বেতাগৈর ইউনিয়নের তৈনখালি গ্রামের একটি সবজি ক্ষেতে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরিচিত এক ব্যক্তি লাশটি রতনের বলে শনাক্ত করে খবর পাঠায় পরিবারের কাছে। রাতে বাড়ি না ফেরা রতনের লাশ পাওয়া গেছে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় জনপ্রতিধিরা সেখানে যান। ঘটনাস্থলে যায় নান্দাইল থানা পুলিশ, ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) ও গোয়েন্দা পুলিশের আরও কয়েকটি দল।

লাশের অদূরে রাস্তার পাশে ছিল রতনের রিকশাটি। রাস্তার পাশের একটি বাগানের সঙ্গে সবজি ক্ষেতের মাঝখানে পড়ে ছিল রতনের লাশ। হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয় রতনকে। লাশের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত রক্তমাখা হাতুড়িটি। হাতুড়ির হাতলটি ভাঙা অবস্থায় পায় পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *