পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তনের ভুল তথ্য প্রত্যাহার করলেন এমপি ফখরুল

পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তনের ভুল তথ্য প্রত্যাহার করলেন এমপি ফখরুল

সংসদে ভুল তথ্য দিয়ে বক্তব্য দেয়ায় তা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন জাতীয় পার্টির এমপি ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফখরুল ইমাম।

বাজেট আলোচনায় ছাঁটাই প্রস্তাবে অংশ নিয়ে গত ৩০ জুন পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন সম্পর্কিত কিছু তথ্য তুলে ধরেন তিনি। ময়মনসিংহ ৮ আসনের এই সংসদ সদস্য অভিযোগ করেন, স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যবইয়ে ‘একটি ধর্মকে (ইসলাম) বাদ দিয়ে আরেকটি ধর্মকে (সনাতন) প্রাধিকার দিয়ে সংস্কৃতি বদলের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

এর উদাহরণ দিতে গিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ে বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের উল্লেখ করেন এমপি ফখরুল। পাঠ্যবইয়ে ‘সংস্কৃতি বদলের চেষ্টা’ বন্ধের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন তিনি।

এমপি ফখরুলের বক্তব্যের এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তবে এর দুদিন পর শনিবার ফখরুল ইমাম নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, সংসদে তিনি যে তথ্য দিয়েছেন সেটি ২০১৬ সালের। দৈনিক ইনকিলাবের অনলাইনে সে সময় প্রকাশিত এই তথ্যের প্রাসঙ্গিকতা এখন আর নেই।

ফেসবুকে এমপি ফখরুল লিখেছেন, ‘গত ৩০-জুন-২০২২ সালে অধিবেশনে ছাটাই প্রস্তাবের আলোচনায় আমার একটি বক্তব্যে একটি দৈনিক পত্রিকার (ইনকেলাব ডিজিটাল সংস্করনের) কিছু উদ্দৃতি দিতে গিয়ে কিছু তথ্য উপস্তাপন করি।

‘ডিজিটাল সংস্করনের পত্রিকার প্রকাশিত তারিখ ছিল বর্তমান তারিখ কিন্তু যে রিপোর্টটি থেকে উদ্দৃতি দিয়েছি তা ছিলো ২০১৬ (১৯ এপ্রিল ২০১৬) সালের যা আমার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। পরে বর্তমানে আমি জানতে পারি যে আমার উপস্তাপিত তথ্য বর্তমান প্রেক্ষাপটে আর সঠিক নয়। ইতিমধ্যে আমি আমার উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহারের আবেদন করেছি।’

তিনি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘সংসদের বক্তব্যের উপর সাংবিধানিক ইমিউনিটি আছে বিধায় এর আলোচনা ও সমালোচনা সংসদেই হওয়া বাঞ্ছনীয়।

‘তারিখ বিভ্রাটের এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্তিতির জন্য আমি দুঃখিত।’
পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তনের ভুল তথ্য প্রত্যাহার করলেন এমপি ফখরুল
এমপি ফখরুল ইমামের ফেসবুক স্ট্যাটাসে বাক্য ও বানানে বেশ কিছু অসঙ্গতি ও ভুল থাকলেও সেটি হুবহু 

সংসদে দেয়া সম্পর্কিত বক্তব্যটি প্রত্যাহারের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদনও করেছেন ফখরুল ইমাম। শনিবার করা ওই আবেদনপত্রেও ভুল স্বীকার করেছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইমাম রোববার বলেন, ‘একটি সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণের তথ্যের ভিত্তিতে আমি এ বক্তব্য দিয়েছিলাম। পরে জানতে পারি সেগুলো ২০১৬ সালের, যা এখন আর প্রযোজ্য নয়। এখন সংসদ বন্ধ রয়েছে, তাই এটা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ না থাকায় আমার বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছি।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *