ঈশ্বরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

ঈশ্বরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

ঈশ্বরগঞ্জে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের বালুমহাল নতুন করে ইজারা দেওয়া হয়নি। কিন্তু বালু উত্তোলন থেমে নেই। বালু উত্তোলনের ব্যাপারে ইজারাদারের লোকজন ও শ্রমিক পক্ষ একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উপজেলার উচাখিলা ও রাজিবপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুমহাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ইজারা দেওয়া হতো। গেল বছর বালুমহালটির ইজারা পেয়েছিলেন ত্রিশালের বালিপাড়ার বাসিন্দা আবুল বাশার। তার কাছ থেকে চুক্তির ভিত্তিতে উচাখিলা বটতলা ঘাটে বালু উত্তোলনের কাজ করতেন স্থানীয়রা। চলতি বছর বালুমহালটির ইজারা দেয়নি প্রশাসন। ওই অবস্থায় ইজারাদারের লোকজনের উত্তোলন করে জমা রাখা বালু সরিয়ে নিতে প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাইলে ১৫ দিনের মধ্যে বালু সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, প্রতি রাতে ড্রেজার বসিয়ে নদ থেকে বালু তোলা হচ্ছে এবং স্তূপ করে রাখা আগের বালুর সঙ্গে এক করে ফেলা হচ্ছে। বালু মহালটির ইজারা শেষ হয়ে গেলেও রয়েছে ইজারা আদায় কার্যক্রম। ওই অবস্থায় স্থানীয় মো. ইব্রাহীম নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন প্রশাসনের কাছে। অন্যদিকে ইজারাদারের লোকজন রাতের বেলায় বালু উত্তোলন করছে অভিযোগ তোলে ঘাট থেকে বালু শ্রমিকরাও বালু উত্তোলনের সুযোগ চাচ্ছেন।

বালু ঘাট থেকে বালু পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রোববার বালু শ্রমিকরা উচাখিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির বাসায় জড়ো হন। বালুমহালের নিয়ন্ত্রণে থাকা সুমন মিয়া বলেন, শ্রমিকরা বালু তোলে আমাদের সেই বালু ক্রয় করতে চাপ দিচ্ছেন। আমরা রাজি না হওয়ায় শ্রমিকরা বালু পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছেন। আমাদের বিরুদ্ধে বালু উত্তোলনের অভিযোগ সত্য নয়।

এদিকে ইজারাবিহীন বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন হচ্ছে- এমন খবর পেয়ে রোববার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদা পারভীন। তিনি বলেন, অভিযানে গিয়ে বালু উত্তোলনের ড্রেজার বা নৌকা পাইনি।

ঈশ্বরগঞ্জের ইউএনও মো. জাকির হোসেন বলেন, কোনো পক্ষই বালু উত্তোলন করতে পারবে না। বালু উত্তোলনের বিষয়টি প্রমাণিত হলে উত্তোলিত বালু জব্দ করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *