লাশের হাতে লেখা ‘কবিতা তুমি আমারে বাঁচতে দিলা না’

লাশের হাতে লেখা ‘কবিতা তুমি আমারে বাঁচতে দিলা না’

ঈশ্বরগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার হাতের তালুতে লেখা ‘কবিতা তুমি আমারে বাঁচতে দিলা না। তুই আমারে শেষ করে দিলে।’ আর কব্জির ওপরের অংশে লেখা- ‘কবিতা তুই আমারে বাঁচতে দিলে না।’

প্রেমের সম্পর্কের টানা পোড়েনে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন ওই যুবক এমন ধারণা স্থানীয়দের। তবে নিহতের হাতে লেখা কবিতার সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। লাশও উদ্ধার করে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে পাঠানো হয়েছে মর্গে।

উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের সরতাজবহেরা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুর রহিমের ছেলে সোহেল মিয়া (৩৫)। তিনি ইউনিয়নটির সরতাজবহেরা বাজারে সোহেল কম্পিউটার নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। সোহেল অন্তত ১০ বছর আগে বিয়ে করেন আরিফা আক্তারকে। রিদি নামে ৮ বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে সোহেলের।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুর ২টার দিকে সোহেলের ছোট ভাই জুয়েল দোকানে যান। দোকান খোলা থাকলেও সামনের অংশে না থাকায় পেছনে রেস্ট করার অংশে গিয়ে দেখেন বড় ভাই সোহেল ঝুলছে। সোহেলকে ঝুলতে দেখে চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জুয়েল। পরে স্থানীয় লোকজনও এসে সোহেলকে দোকান ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী আরিফা আক্তার বলেন, তার সঙ্গে তার স্বামীর ভালো সম্পর্কই ছিলো। কবিতা নামে কোনো নারীর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।’ নিহতের বাবা আবদুর রহিম বলেন, আমাদের কোনো অভিযোগ নেই কারো উপর।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল কাদির মিয়া জানান, নিহতের হাতে কবিতা নামে এক নারীর কথা লেখা রয়েছে। তারা সেই কবিতার সন্ধান করার চেষ্টা করছেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। সূত্র সমকাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *