হেলে পড়া বিদ্যুতের খুঁটি দেড় বছরেও সোজা হয়নি

হেলে পড়া বিদ্যুতের খুঁটি দেড় বছরেও সোজা হয়নি

ঈশ্বরগঞ্জে ধানখেতে হেলে পড়া বিদ্যুতের খুঁটি দেড় বছরেও ঠিক করেনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কর্তৃপক্ষ। ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটিটি বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ লাইনের নিচে স্থানীয় কৃষকেরা দিনভর কাজ করেন।

গরু, ছাগল চরান। শুধু তা-ই নয়, আশেপাশের ছোট ছেলেমেয়েরাও খুঁটির পাশে খেলতে যায়। পাশে আইল দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা। এ অবস্থায় দ্রুত ঠিক না করা হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ঈশ্বরগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিস থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি তারা অবগত আছে। দ্রুত লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরপুবাইল গ্রামে (চরপুবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) লাইনের একটি খুঁটি হেলে পড়েছে। বাঁশের খুঁটি দিয়ে সেটিকে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন হয়ে যাওয়ায় বাঁশের খুঁটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। স্থানীয় অধিবাসীদের অভিযোগ, একাধিকবার বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন।

খুঁটির নিচে ধানখেতে কাজ করা স্থানীয় মো. জামাল হোসেন ও মো. শফিকুল ইসলাম নামে দুই যুবক বলেন, ‘খুঁটির নিচে এবং আশপাশে আমাদের অনেক খেত রয়েছে। খেতে কাজ করার সময় সর্বদা ভয়ে ভয়ে থাকি। প্রায় সময়েই বুকটা কেঁপে ওঠে। এই বুঝি খুঁটি ভেঙে শরীরের ওপর পড়ল!

তাঁরা দুজন আরও বলেন, ‘খুঁটির অংশসহ বিদ্যুতের লাইনের অনেক জায়গায় ভেতরের তার বেরিয়ে আছে। একবার খুঁটি নিচে পড়লে বিদ্যুতায়িত হয়ে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এটি সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তাঁরা।’

এ বিষয়ে স্থানীয় অধিবাসী এহসানুল করিম বলেন, ‘ঠিকঠাক মতো বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা না হওয়ায় প্রায় দেড় বছর আগে এটি উপড়ে পড়ে। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে খেতের পানিতে থাকা মাছসহ সমস্ত জলজ প্রাণী মরে যায়। পরে বিদ্যুতের লোকজন এসে বাঁশের খুঁটির ওপর বিদ্যুতের খুঁটিটি ঠেকিয়ে দিয়ে যায়। ’

চরপুবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাঁশ দিয়ে ঠেকানো বিদ্যুতের খুঁটি এবং বিদ্যুৎ লাইনের নিচে স্থানীয় কৃষকেরা দিনভর কাজকরে। গরু, ছাগল চরায়। শুধু তা-ই নয়, আশেপাশের ছোট-ছোট ছেলেমেয়েও খুঁটির পাশে খেতের আইল দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। ’

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমান হোসেন বলেন, ‘এটা সমাধানে বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবগত করার পরও এ পর্যন্ত তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।’

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) সৈকত মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি সম্বন্ধে আমি অবগত ছিলাম না। নয়তো আরও আগেই এটি সমাধান হয়ে যেত। তবে এখন যেহেতু জেনেছি দ্রুত লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেব।’

সূত্র আজকের পত্রিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *