
ঈশ্বরগঞ্জে খুঁটির বদলে গাছে বিদ্যুতের তার
ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার ছয়টি গ্রামে গ্রাহকদের বিদ্যুত্ সংযোগ দিতে কনক্রিটের খুঁটির বদলে গাছ ও বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে। পৌরসভার ঐ ছয় গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি না থাকায় মারাত্মক দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা যায়, দত্তপাড়া, চর নিখলা, রহমতগঞ্জ, শিমরাইল, পাইভাকুড়ি, ধামদী, কাকনহাটি, নয়শিমুল, চর হোসেনপুর এই ৯টি গ্রাম নিয়ে গঠিত ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভা। এই ৯টি গ্রামের মধ্যে দত্তপাড়া, চর নিখলা, চর হোসেনপুর গ্রামে আংশিক এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি থাকলেও বাকি ছয়টি গ্রামে কোনো বিদ্যুতের খুঁটি নেই।
উপজেলা আবাসিক বিদ্যুত্ প্রকৌশল বিভাগের তথ্য মতে, সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলোতে প্রায় ৯ হাজার বিদ্যুত্ গ্রাহক রয়েছেন। তারা নিয়মিত বিদ্যুৎ বিলও পরিশোধ করে আসছেন। কিন্তু তাদের বাড়ির কাছে কোনো বিদ্যুতের খুঁটি নেই। গ্রাহকরা বিদ্যুতের মেইন লাইন থেকে এলটি সার্ভিস ড্রপ তার দিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন গাছপালা ও বাঁশকে খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন।
শিমরাইল গ্রামের বিদ্যুত্ গ্রাহক রুকন উদ্দিন জানান, ঝড়-তুফানের সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ বছর বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে শিমরাইল গ্রামের কৃষক মফিজ উদ্দিনের দুটি গরু মারা যায়। তিনি বলেন, গ্রামগুলোতে বিদ্যুতের তার যেভাবে টানা হয়েছে তাতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
পৌর মেয়র আব্দুস ছাত্তার জানান, পৌরসভার গ্রামগুলোতে খুঁটি স্থাপন করে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত্ সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বরাবর তাগিদ দেওয়ার পরও কোনো কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ অধিদপ্তরের আবাসিক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলোতে বিদ্যুতের খুঁটি নেই এবং গ্রাহকরা ঝুঁকিতে রয়েছে তা আমার জানা আছে। কিন্তু প্রকল্প না থাকায় গ্রামগুলোতে খুঁটি স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারিভাবে প্রকল্পের আওতায় না নেওয়া পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তবে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব খাত থেকে শিমরাইল গ্রামে কিছু খুঁটি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।