
হতাশা থেকে ছোট বোনকে হত্যা বড় বোনের
বড় মেয়ে লাকি আক্তারের কাছে দুই বছরের জান্নাতকে রেখে পাশের বাড়িতে গিয়েছিলেন মা। বাড়িতে ফিরে জান্নাতকে না পেয়ে খোঁজাখুুঁজি শুরু হয় সবখানে। এক পর্যায়ে টয়লেটের ট্যাঙ্কের ভেতরে পাওয়া যায় জান্নাতের মরদেহ। বড় বোন লাকিই (১৩) তাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। উপজেলা সদর ইউনিয়নের চরহোসেনপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক শহিদুল ইসলামের চার মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সবার ছোট জান্নাত। দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর শিশুটির লাশ লুকিয়ে ফেলে লাকি।
খবর পেয়ে পুলিশ বিকেলে ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাটি সম্পর্কে পরিবারের লোকজনের কাছে তথ্য নিতে শুরু করলে সন্দেহ হয় লাকিকে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ছোট বোনকে হত্যার কথা স্বীকার করে সে। পরে লাশ টয়লেটের ভেতরে রেখে লাকি স্বাভাবিকভাবেই ঘরে অবস্থান করে।
পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লাকি দিনভর ঘরেই থাকত। জোর করেও তাকে স্কুলে নিতে না পারায় পড়ালেখা করানো যায়নি। বাড়ি থেকে বের হলেই পড়ালেখা না করায় ভালো বিয়ে হবে না বলে নানা কথা শুনতে হয় লাকিকে। সে কারণে বাড়ি থেকে বের হতো না সে। মানুষের নানা কথা শুনতে হয় বলে হতাশা থেকে নিজের বোনকে হত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছে সে।
তবে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল কাদের মিয়া বলেন, বিক্ষিপ্ত কিছু কথা বলছে লাকি। বোনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য এখনও তারা পাননি। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃদ দা ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। সূত্র সমকাল