ঈশ্বরগঞ্জে অ্যাসিডদগ্ধ শাশুড়ি ও পুত্রবধূ

ঈশ্বরগঞ্জে অ্যাসিডদগ্ধ শাশুড়ি ও পুত্রবধূ

ঈশ্বরগঞ্জ (সমকাল) প্রতিনিধিঃ দিনভর ঘটা করে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন হয়েছে। কিন্তু রাত্রি নামার সঙ্গে সঙ্গে দুই নারীকে অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। দগ্ধ অবস্থায় শাশুড়ি ও পুত্রবধূকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের বেহেত্তরী গ্রামের প্রয়াত আমীর উদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী প্রয়াত নুরুল আমীনের পরিবারের লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। বিরোধের জেরে দুই পরিবারের মধ্যে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।

গতকাল রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রয়াত আমীর উদ্দিনের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৫৫) ও তার ছেলে এমদাদুল হকের স্ত্রী লিজা বেগমকে (১৮) অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। নিজের বসতঘর লাগোয়া খোলা রান্নাঘরে রাতের খাবার রান্না করছিল পরিবারটি। হঠাৎ এক ব্যক্তি ছুটে গিয়ে শাশুড়ি ও পুত্রবধূর শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।

অ্যাসিড নিক্ষেপের পর যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করায় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে শাশুড়ি ও পুত্রবধূকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানেই অ্যাসিডদগ্ধ শ্বাশুড়ি ও পুত্রবধূর চিকিৎসা চলছে।

প্রতিপক্ষ প্রয়াত নুরুল আমীনের ছেলে খোকন মিয়া অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে এমন অভিযোগ এনে ঘটনার পরপর আহতের পরিবারের লোকজন হামলা করে খোকন মিয়ার বাড়িতে। বাড়িতে হামলার বিষয়টি ৯৯৯ এ জানালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা শোনার পর পুলিশ খোকন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাদের হেফাজতে নেয়। অ্যাসিড দগ্ধ নারীদের পরিবারের পক্ষ থেকে খোকন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও পুলিশের কাছে অস্বীকার করেছে খোকন।

আঠারবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জালাল উদ্দিন বলেন, অ্যাসিডে দগ্ধ শাশুড়ি ও পুত্রবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোকন মিয়াকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *