ঈশ্বরগঞ্জে ১৮ বছর পর গ্রেপ্তার হলো যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি

ঈশ্বরগঞ্জে ১৮ বছর পর গ্রেপ্তার হলো যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি

ঈশ্বরগঞ্জ (সমকাল) প্রতিনিধিঃ আবদুছ ছালাম বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে বসতি গড়েছিলেন। প্রতিবেশী এক সম্বন্ধির কাছ থেকে মাসিক ৩০০ টাকা সুদ দেওয়ার শর্তে এক হাজার টাকা নিয়েছিলেন। এক হাজার টাকার সুদ দেওয়া নিয়ে বল্লমের আঘাতে প্রাণ দিতে হয় ছালামকে।

হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন সাজা হয় দুই আসামির। সাজা হওয়া আসামিকে ঘটনার ১৭ বছর পর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এমন ঘটনা ঘটে ঈশ্বরগঞ্জে। আঠারবাড়ি এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আবদুছ ছালাম মাইজবাগ ইউনিয়নের রাউলেরচর গ্রামে বিয়ে করেন জুলেখা বেগমকে। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করতেন ছালাম।

টাকার প্রয়োজন হওয়ার শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়ার কাছ থেকে এক হাজার টাকা নেন। শর্ত ছিল মাসে ৩০০ টাকা সুদ দিতে হবে। কয়েক মাস সুদ দেওয়ার পর এক মাসের সুদের টাকার ব্যবস্থা না করতে পারায় ছালামকে শাসায় বাচ্চু। সুদের টাকা নিয়ে ঝগড়ায় আবদুছ ছালামকে মারধর ও বল্লম দিয়ে হত্যা করা হয়। ২০০২ সালের ৮ আগস্ট ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে আবদুল খালেক, বাচ্চু মিয়াসহ কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

আদালত বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৭ সালের ১ জুন আসামি আবদুল খালেক ও বাচ্চু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

হত্যার পর আবদুল খালেক পলাতক ছিলেন। ফেরারি হয়ে নতুন করে সংসার পাতেন লাঙ্গলকোট উপজেলার গুমকোট গ্রামে। কৃষিকাজ করে সংসার শুরু করা আবদুল খালেকের খোঁজ পায় পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *