
বাকপ্রতিবন্ধী শ্যালিকাকে ধর্ষণে ভগ্নিপতি গ্রেপ্তার
ঈশ্বরগঞ্জে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার প্রায় ১৫ দিনের মাথায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে রোববার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখানে বিচারকের কাছে শ্যালিকাকে ধর্ষণের স্বীকারোক্তি দেয় সে।
জানা গেছে, উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাওরী গ্রামের প্রয়াত মরছব আলীর ছেলে আল আমিন (৩০)। পেশায় রিকশা চালক এই যুবক প্রায় ৬ বছর আগে এক মেয়েকে বিয়ে করে। মারধর করায় ঝগড়া করে সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান তার স্ত্রী।
স্ত্রী বাড়িতে চলে গেলেও বাকপ্রতিবন্ধী শ্যালিকা (১৫) ভগ্নিপতির বাড়িতে মাঝে মধ্যেই যেতেন। গত ৯ জানুয়ারি বাড়িতে আসলে তাকে ধর্ষণ করে আল আমিন। তখন স্থানীয় লোকজন সালিশের মাধ্যমে বিচার করেন। শাস্তি হিসেবে দেওয়া হয় আল আমিনকে কানধরে উঠবস, জুতাপেটা ও অর্থদণ্ড।
এমন খবর পেয়ে পুলিশ ১১ জানুয়ারি মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ওই দিনই নির্যাতিতা মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। পরে মেয়েটিকে আদালতে জবানবন্দির জন্য পাঠানো হলে মুখ ও বধির একজন শিক্ষকের মাধ্যমে জবানবন্দিতে উঠে আসে ধর্ষণের বিষয়টি।
ঘটনার পরপর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ভগ্নিপতি আল আমিন। শনিবার রাতে প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার হাতিরঝিল এলাকায় অভিযানে যায় মামলার তদন্তকারী পুলিশের দল। একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আল আমিনকে।
রোববার বিকেলে আল আমিনকে ময়মনসিংহ চার নম্বর আমালী আদালতের বিচারক মাহবুবা আক্তারের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে সে প্রতিবন্ধী শ্যালিকাকে ধর্ষণের স্বীকারোক্তিমূলক জবাবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই মো. রওশন আলী।
তিনি বলেন, মেয়েটি ভগ্নিপতির বাড়িতে যাওয়া আসার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় আল আমিন।