শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছে মাদকসেবী

শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছে মাদকসেবী

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি: ঈশ্বরগঞ্জে হারুয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির মাজহারুল নামের এক শিক্ষাথীকে স্থানীয় মিজানুর নামে এক মাদকসেবী যুবক বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ে ডুকে মারধর করে হাত ভেঙে দিয়েছে।

মঙ্গলবার সরজমিন গিয়ে জানা গেছে উপজেলা হারুয়া গ্রামের মৃত সুলতান খা’র শিশুপুত্র মাজারুল ইসলাম গ্রামের স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সোমবার একই স্কুলের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তেরচাটি গ্রামের আব্দুল কাদিরের নাতী আশিকুর রহমানের পুত্র আবির এর মাথে মাতার ক্যাপ নিয়ে হাতা হাতি হয়। বিষয়টি অবির শিক্ষকদের না জানিয়ে বাড়িতে গিয়ে জানায়। পরে বাড়ি থেকে আবিরের মাদক সেবী চাচা মিজানুর দেড়টার দিকে স্কুলে গিয়ে মাজহারুলকে এলোপাতারি মারধর করলে সে আহত হয়।

পরে শিক্ষক আমিনুল ইসলাম শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে কমিটির সদস্যদের জানিয়ে এক সদস্য চান মিয়ার মাধ্যমে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক ভাবে এক্স-রে করে ডান হাতটি ভেঙেছে বলে জানিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করতে চাইলে অভিভাবকের অনুপস্থিতির কারণে নেয়া হয়নি। বর্তমানে শিশুটি বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছে।

এলাকার একাধিক ব্যাক্তি বলেন, মিজানুর প্রায় সময়েই মাদক সেবন করে, যে কারণে মাথা গরম থাকে লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ করে। মিজানুরের পিতা আব্দুল কাদির বলেন এই ছেলের জন্য মানুষের সামনে মুখ দেখানো দায় হয়েছে।

সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন আহত অবস্থায় শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে প্রেরণ করে উর্ধতন কর্মকর্তদের অবহিত করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা বেগম জানান, তিনি বিদ্যালয়ে ছিলেন না পরে মোবাইল ফোনে শিক্ষকদের মাধ্যমে শুনেছেন এবং পরিচালনা কমিটির সভপতিকে অবহিত করেছেন।

পরিচালনা কমিটির সভপতিকে মোস্তাফিজুর রহমান চকদার জানান, পারিবারিক ভাবে মিমাংসার জন্য বলে দেয়া হয়েছে। স্কুলের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা করে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সহকারী শিক্ষা অফিসার রেজাউল করিম জানান, বিষয়টি জানার পর প্রধান শিক্ষককে রেজুলেশন করে অফিসকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিলুফার হাকিম জানান, একজন শিক্ষকের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। শিক্ষা অফিসের সাথে কথা বলে থানা পুলিশ দিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *