
ঈশ্বরগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থী জনপ্রিয়তা নিয়ে বিপাকে আ’লীগ
ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান নৌকা প্রতীক পাওয়ায় এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। দল থেকে বহিস্কার করেও ধমাতে পাড়ছে না। নির্বাচনের প্রচারণার শেষ মুর্হূতে জমে উঠেছে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর লড়াই। শোডাউন ও প্রচারে সর্বত্র আলোচনা দুই প্রার্থীকে ঘিরেই।
ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারণায় হামলা ও অফিস ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নির্বাচনী পরিবেশ। বিএনপি ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী থাকলেও ভোটারদের মধ্যে আলোচনা নেই এ দুই প্রার্থীর।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঈশ্বরগঞ্জ পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এতে মোট ভোটার ২২হাজার ৫’শ ৩৪জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১হাজার ২’শ ৬৩জন, পুরুষ ১১হাজার ২’শ ৭১জন। ১১টি কেন্দ্রে ৬২টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্ধীতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার। গত পৌর নির্বাচনেও ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন এ দুই প্রার্থীই। মাত্র ৫৮৭ ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হয়ে ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার।
এ বারের নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার তাঁর মেয়াদ কালীন সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে জনপ্রিয়তা। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান নৌকা প্রতীক পাওয়ায় এবারও পড়েছেন বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নিয়ে বিপাকে। তবে প্রতিনিয়ত নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে কেন্দ্রিয়, জেলা ও উপজেলা আ’লীগের নেতাকর্মীরা মরিয়া হয়ে লেগেছেন। ফলে দুই প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডা-হাড্ডি এমনটি ধারনা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
বিদ্রোহ দমন করতে ইতোমধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার, উপজেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ও বজলুর রহমানকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। তবুও নির্বাচনে স্বস্তি পাচ্ছে না আ’লীগ।