Ishwarganj

ঈশ্বরগঞ্জে ইজিপিপি কর্মসূচির শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি: হতদরিদ্র বেকার জনগোষ্ঠীর স্বার্থে ‘অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান’ কর্মসূচি (ইজিপিপি) হাতে নিয়েছে সরকার। মূলত ভূমিহীন, ব্যক্তি বা দুস্থ পরিবারগুলোকে সুরক্ষা দিতে এ কর্মসূচি চালু করা হয়। কিন্তু ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ২০২০-২১ অর্থ বছরে (ইজিপিপি) ২য় পর্যায় কর্মসূচির আওতায় গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে চরম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে উচাখিলা ইউনিয়নের মঘা গ্রামের সাদেকুর রহমান নামের এক শ্রমিক ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে (ইজিপিপি) ২য় পর্যায় কর্মসূচিতে তার ভাই শাহজাহান কবিরসহ আরো অনেকের নাম শ্রমিকের তালিকাভুক্ত করে ইজিপিপি কর্মসুচির কাজে কোন সুযোগ না দিয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য মাসুদ রানা পরস্পর যোগসাজসে প্রত্যেকের ৮হাজার টাকা মজুরি করে ১৮/১৯ জনের সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করিয়াছে। প্রকল্পভূক্ত তালিকায় শ্রমিক সাদেকুল ও তার ভাই শাহজাহানের নাম দেখতে পেয়ে বিষয়টি ইউপি সদস্যকে জিজ্ঞাসা করলে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করতে বলে এবং এব্যপারে কোন প্রকার অভিযোগ করলে বিপদে পড়তে হবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় ইজিপিপি প্রকল্পভুক্ত শ্রমিকদের মাঝে যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন এমন ২০/২২জন শ্রমিককে ৮হাজার টাকার স্থলে ২হাজার ৮শ টাকা করে মজুরি প্রদান করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ইউপি সদস্য মাসুদ রানার বিগত ইজিপিপি প্রকল্পে শ্রমিকদের দ্বারা রাস্তা খননের পরিবর্তে নিজের ফিসারীও খনন করিয়াছে। অভিযোগকারী সাদেকুল জানান

এব্যপারে ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে (ইজিপিপি) ২য় পর্যায় কর্মসূচির আওতায় উচাখিলা ইউনিয়নের রফিয়ার আলগী রফিকুলের বাড়ী হতে আলাদিয়ার আলগী মুক্তিযোদ্ধা আলতাব মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা মাটি কাটা হয়েছে। ৪৫জন কাজ করার কথা থাকলেও মাত্র ৪২জন শ্রমিক ১৪দিন কাজ করেছে। তাদের প্রত্যেকে ২হাজার ৮শ টাকা করে মজুরি প্রদান করা হয়েছে।

এব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম কে ফোন দিয়ে ইজিপিপি কর্মসুচীর বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন আমি নান্দাইল আছি। প্রথমবার ফোন রিসিভ করলেও পরে আর ফোন রিসিভ করেননি।

এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ হাফিজা জেসমিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *