চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতারণার ও লুটপাটের অভিযোগ মেম্বারদের

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও লুটপাটের অভিযোগ মেম্বারদের

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ৯নং উচাখিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিমের বিরুদ্ধে প্রতারণা এর মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন ও রাজস্ব খাতের টাকা লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিষদের ৭ মেম্বার। মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পৃথক পৃথক ওই দুটি অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগকারী সদস্যরা হচ্ছেন, দুলাল মিয়া, আবুল বাশার, আকরাম হোসেন, শহিদ মিয়া, সাইফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও সংরক্ষিত নারী সদস্য তাসলিমা আক্তার।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের মেম্বার পদে নির্বাচিত হওয়ার পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শপথ গ্রহণ করেন। শপথের তিন মাসের মধ্যে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠনের নিয়ম থাকলেও অদ্যবধি তিনি প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করেননি। তবে গত ৩০ আগস্ট পরিষদের মাসিক মিটিং এ প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে একাধিক প্রার্থী থাকায় ইউপি সচিবের মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ জানানো হবে বলে সকল মেম্বারগনের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয় চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে মেম্বারগন জানতে পারেন ৩০ আগস্টেই তাদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে স্বাক্ষর নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়েছে।

অপর আরেক অভিযোগে জানা যায়, ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে চেয়ারম্যানের সাথে একমত হতে পারেন না মেম্বারগন। বিশেষ করে ইউনিয়নের হাট বাজারের রাজস্ব, পরিষদের নিজস্ব রাজস্ব ও ১% এর টাকা কোথায় কোন খাতে ব্যয় করা হয় তা মেম্বারগন জানতে পারেন না। এমন বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার পরিষদের সাত মেম্বার মিলে চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।

এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বলেন, আমি নিজেও কিছুই জানি না।

বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্যরা পরিষদের মাসিক মিটিং এ চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, এসব বিষয় আপনাদের জানার অধিকার নেই। এমন অবস্থায় ইউপি সদস্যগণ ধারণা করছেন রাজস্বের টাকা ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে চেয়ারম্যান লুটপাট করেছেন।

চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান গঠনে পরিষদে মিটিং হয়েছে। ৬ জন প্রার্থী থাকায় পরবর্তী ২দিনের মধ্যে ইউপি সচিবের কাছে জানানোর কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু তারা কেউ কোন কিছু জানায়নি। পরে জরুরী প্রয়োজনে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সবকিছু নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে। প্রকল্প যখন আসে তখন সদস্যদের মিটিং এ ডাকা হয় কিন্তু তারা মিটিং এ উপস্থিত থাকে না। তাকে অপদস্ত করতেই কয়েকজন সদস্য এ ধরনের অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তাঁদেরকে নিয়ে বসা হবে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *