নদী সংস্কার না করায় এমপি ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের ক্ষোভ
ডেস্ক নিউজঃ ঈশ্বরগঞ্জে বিগত ৫০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি ও মাছের পুকুরসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে উপজেলার বেশির ভাগ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল।
এদিকে বৃষ্টির পানিতে এককালের খরস্রোতা কাঁচামাটিয়া নদীতে দেখা দেয় ব্যাপক কচুরিপানার জট। নদীর কচুরিপানার জটলা ভাঙতে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে দফায় দফায় কথা বলেও কোন প্রতিকার পাননি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফা হানিফ। পরে তিনি নিজ উদ্যোগেই কচুরিপানার জট সরান। এ বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন তিনি ।
তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘কাঁচা মাটিয়া নদীর মধ্যে কচুরিপানা কারণে সারা ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত। এই অফুরন্ত ক্ষতি হয়ে যাওয়ায় আমি বারবার এমপি ফখরুল ইমাম মহোদয়কে ও তার পিএসকে বলি এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের বলি। কিন্তু কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে নিজ উদ্যোগে কচুরিপানা সরানোর কাজ শুরু করলাম।
তার পোস্টটি ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। এ নিয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় এমপির সমালোচনা চলছে চারদিকে।
বিষয়টি নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘নদীতে কচুরিপানা আটকে কৃষকের কৃষি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এ ব্যাপারে কোন কৃষক আমাকে জানাননি এবং চেয়ারম্যান সাহেবও আমাকে কিছু জানাননি। যদি কৃষকের ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে চেয়ারম্যান সাহেব উনি জনপ্রতিনিধি নিজ উদ্যোগে কাজটি করছেন তাহলে এটা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। তবে এখন যেহেতু বিষয় আমি জানলাম অবশ্যই একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।