শিকলে বেঁধে ইটভাটা শ্রমিককে নির্যাতন, পুলিশের উদ্ধার, মালিকসহ আটক ২

শিকলে বেঁধে ইটভাটা শ্রমিককে নির্যাতন, পুলিশের উদ্ধার, মালিকসহ আটক ২

ডেস্ক নিউজঃ ঈশ্বরগঞ্জে একটি ইটভাটা থেকে চারদিন ধরে শিকলে বাধা সবুজ আলী (৩৬) নামে এক শ্রমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ইটভাটার মালিকসহ দুই জনকে আটকের পর শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ জানা যায়, উপজেলার তরফ পাছাইল গ্রামে অবস্থিত এজিবি ব্রিকস নামে ইটভাটায় গত প্রায় দুই মাস ধরে কাজ করছিলো সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার সাম্ভান গ্রামের আবজাল হোসেনের এর ছেলে সবুজ আলী। কাজ রেখে পালিয়ে চলে যাবে এই সন্দেহে ওই শ্রমিককে পায়ে শিকল বেঁধে কাজ করাতেন ভাটার মালিক। দিনে কাজ করানোর পর রাতে মালিকের কক্ষে একটি খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে চালানো হতো নির্যাতন। এমন ঘটনা জানতে পেরে সবুজের বাবা আবজাল হোসেন থানায় অভিযোগ দিলে শুক্রবার গভীর রাতে শিকলে বাধা শ্রমিক সবুজকে উদ্ধার ও ভাটার মালিক এবং ম্যানেজারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযোগে জানা যায়,গত প্রায় দুই মাস আগে নাটোরের হালশা এলাকার ইটভাটার সর্দার আনসার আলী নামে এক ব্যক্তি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এজিবি ব্রিকস নামের ইট ভাটার মালিকের কাছ থেকে অগ্রিম ৩ লাখ টাকা নিয়ে সবুজ আলীসহ মোট ১৮জন শ্রমিক দেয়। পরে তিনি লাপাত্তা হয়ে গেলে অন্য শ্রমিকরা বুঝতে পেরে তারাও চলে যায়। থেকে যায় সবুজ আলী। এ অবস্থায় পারিশ্রমিক না পেয়ে তিনিও চলে যেতে চাইলে ব্রিকসের মালিক ও ম্যানেজার ঘটনা বুঝতে পেরে পালিয়ে যাওয়ার সন্দেহে তাঁকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি পায়ে শিকল বেধে আটকে রেখেই কাজ করাতো। সেই সাথে চলে নির্যাতন।

এঅবস্থায় কৌশলে সবুজ আলী অন্য একটি মোবাইলে এমন ঘটনাটি বাবা আবজাল হোসেনকে জানায়। পরে গত শুক্রবার রাতে বাবা আবজাল হোসেন ঈশ্বরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। সেই অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ইটভাটায় গিয়ে শ্রমিক সবুজ আলীকে ইটভাটার মালিকের কক্ষ থেকে পায়ে শিকল বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় ভাটায় অবস্থান করা ভাটার মালিক খাইরুল আলম রাসেল (৪২) ও ম্যানেজার আসাদ মিয়া (৭০)কে গ্রেফতার করা হয়।

এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত ফরিদ আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় তিন জনকে আসামি করে নিয়মিত মামলা হয়েছে। দুই জনকে গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *