আগুনে পুড়ে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি

অগ্নিকাণ্ডে তিন পরিবারের নগদ অর্থসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ অগ্নিকাণ্ডে তিন পরিবারের নগদ অর্থসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

‘আগুনে পুড়ে আমাদের সব শেষ অইয়া গেছে, কিছুই বাকি রইল না। আমার টাকা-পয়সা, পাট, সেলাই মেশিন ও ধান চালসহ সংসারের প্রয়োজনীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে’—বারবার এই কথাগুলো বলে বিলাপ করছিলেন বিলকিস (৪০)।

পাশে দাঁড়িয়ে দুইজন প্রতিবেশী তাকে তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। বিলকিস ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের পস্তারী গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। বসতঘরসহ আগুনে তার তিনটি ঘর পুড়ে গেছে। শুধু বিলকিসই নয়, আগুনে পুড়েছে আরও দুই পরিবারের দুটি বসতঘর। বিলকিসের দাবি আগুনে পুড়ে তাদের প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আরেকজন রিতা বেগম বলেন, আমার ঘরের সব শেষ। নগদ ১ লাখ টাকাসহ বসতঘরে থাকা ধান-চাল ঘর ও সংসারের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রাই ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । তিনি একই গ্রামের শহিদুল্লাহ’র স্ত্রী।

ক্ষতিগ্রস্ত অপর একজন হলেন মৃত আব্দুর রাশিদের স্ত্রী রাহিমা খাতুন। তিনি বলেন, আমি কিছুই বলতে পারব না, আমাদের সব শেষ। বিদেশ থেকে ছেলের পাঠানো টাকা, ফ্রিজসহ সংসারের যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৮লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সাইফুলের বসতঘর থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে মুহূর্তের মধ্যে পার্শ্ববর্তী রাহিমা ও শহিদুল্লাহ ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার স্টেশন অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *