বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট মামলায় ৮জনের কারাদন্ড
ডেস্ক নিউজঃ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাউলের চর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট ঘটনায় ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ৯জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। দায়েরকৃত মামলায় ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মনিরুজ্জামানের দ্বিতীয় বিচারিক আদালত ৮জন আসামীকে পেনাল কোডের ৪২৭ ধারায় প্রত্যেককে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৩হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৭দিন বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছেন, উপজেলার রাউলের চর গ্রামের মৃত হেলাল উদ্দিন আহমেদের পুত্র কামরুল ইসলাম ও আদেল আহমেদ, মৃত আব্দুল হেকিমের পুত্র ফারুক হোসেন, মৃত মোহাম্মদ হোসেন মাস্টারের পুত্র একেএম ফজলুল হক মাস্টার, মৃত আব্দুল ওয়াদুদের পুত্র শফিকুল ইসলাম মঞ্জিল, বড়ইবাড়ি গ্রামের মোঃ ইব্রাহিমের পুত্র নবী হোসেন, নবী হোসেনের পুত্র আব্দুল হেকিম ও মৃত আব্দুল বারেকের পুত্র বাদল মিয়া। উল্লেখ্য দায়েরকৃত ৯জন আসামীর মধ্যে কাঞ্চন মিয়া মারা গিয়েছেন।
বিজ্ঞ আদালত সাজাপ্রাপ্ত উপস্থিত ৩জনকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। বাকী ৫জন পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামীরা হলেন, কামরুল ইসলাম, আদেল আহমেদ, ফারুক হোসেন, একেএম ফজলুল হক মাস্টার, শফিকুল ইসলাম মঞ্জিল।
পলাতক আসামীরা স্বেচ্ছায় অথবা পুলিশ কর্তৃক ধৃত হলে সেদিন থেকে তাদের সাজার মেয়াদ গণনা হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার রায়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়েছে, ২০২১সালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের রাউলের চর গ্রামের বাদী জিয়াউর রহমান মাস্টারের বাড়ীতে ২৪অক্টোবর সকাল অনুমান সাড়ে ৬টায় দলবদ্ধ হয়ে রামদা, হাতুরি, হেমার, লোহার রড, লাঠিসোঁটা নিয়ে বাড়ির বাউন্ডারি ওয়াল গেইট ভেঙ্গে বাড়ি ঘরে অনাধিকার প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় হামলাকারীরা ওয়ারড্রপ থেকে নগদ ৭৫হাজার টাকা এক ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন, দুই ভরি ওজনের স্বর্নের বালা লুট করে নিয়ে যায়।
এছাড়াও ২২সেপ্টি মিনিস্টার ফ্রিজ ও এক লক্ষ টাকা মুল্যের ১শ সিসি ডিস্কভার মোটরসাইকেল কুপিয়ে ভাংচুর করে। ঈশ্বরগঞ্জ থানার মামলা নং ১৫(১০)২০২১ ও জিআর মামলা নং ২৫৬/২০২১ মুলে সার্বিক পর্যালোচনায় বিজ্ঞ আদালদ মনে করেন যে রাষ্ট্র পক্ষ উপযুক্ত বিশ্বাসযোগ্য ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সাক্ষ্য ধারা আসামীদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪২৭ ধারায় অভিযোগের বিষয়টি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমান করতে সমর্থ হয়েছে। সুতরাং উক্ত আসামীদেরকে পেনাল কোডের ৪২৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ আদালত ১০ডিসেম্বর ২০২৩ এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।