পুরনো কাপড়েই শীতবরণ, জমজমাট কেনা-বেচা

পুরনো কাপড়েই শীতবরণ, জমজমাট কেনা-বেচা

ডেস্ক নিউজঃ বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র্য অনুযায়ী অগ্রহায়ণে চলে আসে শীতের আমেজ। আর পৌষে দেখা যায় শীতের পূর্ণ রূপ। তবে চলতি বছর ঈশ্বরগঞ্জ ও আশপাশের অঞ্চলে শীতের আগমনী বার্তা কার্তিকের শেষ থেকেই বইছে। অগ্রহায়ণের শুরু থেকে বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। কয়েকদিন আগের বৃষ্টি সেই তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে। ফলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম পোশাকের কেনা-বেচা। তবে নতুন কাপড়ের বিক্রেতারা গত বছর চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষদের অনেকটা বাধ্য হয়েই ক্রয় করতে হচ্ছে পুরনো শীতের কাপড়। পুরনো কাপড়েই শীতকে বরণ করে নিচ্ছেন তারা। ক্রেতা ও বিক্রেতার পদচারণা ও দরকষাকষিতে জমজমাট পুরনো কাপড়ের দোকান।

গতকাল রবিবার ও সোমবার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পৌর বাজার, আঠারবাড়ি ও মাইজবাগ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র। দোকানগুলোতে বেশি বিক্রি হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের শীতের পোশাক। এছাড়াও মাথার টুপি, পায়ের মোজা, হাত মোজা, মাফলার, সোয়েটার, ফুলহাতা গেঞ্জির চাহিদাও বেড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশে অস্থায়ী পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় লেগেই থাকছে। কম দামে ভালো মানের গরম কাপড় মেলায় এসব দোকানে বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা থাকায় মাঘের শেষ পর্যন্ত বিক্রি চলবে।

পুরনো কাপড়ের দোকানে আসা জহিরুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘শীতের পোশাক কিনতে আমি দোকানে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে দাম আমার নাগালের বাইরে। তাই আমি রাস্তার পাশের পুরনো কাপড়ের দোকান থেকে একটি জ্যাকেট কিনতে এসেছি।’

পুরনো কাপড় বিক্রেতা রুহুল আমীন (৩৮) বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের আমির মার্কেট ও ঢাকার বিভিন্ন বাজার থেকে পোশাকের তারতম্য অনুযায়ী বিভিন্ন দরে এই পুরনো পোশাকগুলো কিনে আনি। ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামে বিক্রি করি। গত সপ্তাহের চেয়ে এখন বিক্রি বেশি হচ্ছে। কখন বেশি শীত পড়বে, আমরা সেই অপেক্ষাতেই থাকি। কারণ ঠাণ্ডা বেশি পড়লে আমরা এগুলো বেশি বিক্রি করতে পারি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *